রবিবার২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ২৬শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোটার তালিকায় নাম না থাকলে ও সে প্রার্থী!

ছবি সংগৃহীত

ডেক্স রিপোট-কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের ভোটার তালিকায় নাম নেই অথচ আসন্ন ডাকসু সদস্য প্রার্থী হয়েছেন নিপু ইসলাম তন্বী নামের এক ছাত্রী।
প্রার্থী হওয়া ওই ছাত্রী ছাত্রলীগের প্যানেলে শামসুন্নাহার হল থেকে ডাকসুর সদস্য পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

ডাকসু নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদীও তন্বী। যদিও ভোটার তালিকায় নাম না থাকলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. এস এম মাহফুজুর রহমান।

জানা যায় তন্বী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১১-১২ সেশনের ছাত্রী। ছাত্রত্ব না থাকার কারণে আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধীন সান্ধ্যকালীন কোর্স ‘মাস্টার্স অব ট্যাক্স ম্যানেজেমেন্টে’ ভর্তি হন। কিন্তু হলের সরবরাহকৃত ভোটার তালিকায় এখনো তাঁর নাম নেই। অথচ তিনি শামসুন্নাহার হল থেকে ডাকসু সদস্য পদে মনোনয়ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়ন নিয়ে জমাও দিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ভোটার তালিকায় নাম না থাকলে সে মনোনয়ন নিতে পারবে না। অথচ অভিযুক্ত হল থেকে মনোনয়ন নিয়ে ডাকসুর সদস্য পদে মনোনয়ন জমাও দিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে নিপু ইসলাম তন্বী জানান, তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন এবং জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। কেননা তিনি হল শাখা ছাত্রলীগের দুই বছর ধরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের দায়িত্বও পালন করেছেন।

ভোটার তালিকায় আছেন কি না, জানতে চাইলে তন্বী বলেন, ‘আমি ব্যাংকিং বিভাগে ভর্তি হয়েছি। আমার নাম সম্পূরক তালিকায় রয়েছে।’ তার ভোটার নম্বর জানতে চাইলে তিনি জানাতে পারেননি।

এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সুপ্রিয়া সাহা বলেন, ‘আমি এই নিয়ম সম্পর্কে অবগত না।’ তিনি উল্টো প্রশ্ন করে বলেন, ‘এই নিয়ম আপনি কোথায় পেয়েছেন?

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘ভোটার না হলে তিনি তো ফর্ম নিতে পারবেন না।’ তবে তন্বীর বিষয়টি তিনি জানেন না বলে জানান।

ডাকসু নির্বাচন কমিশন আগামী ৫ মার্চ ডাকসুর সম্পূরক ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে। আর সম্পূরক ভোটার তালিকায় যাদের নাম আসবে তাঁরা প্রার্থী হতে পারবেন না। কারণ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন গ্রহণের শেষ তারিখ ছিল। কর্তৃপক্ষ ২৬ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন গ্রহণকারীদের থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করে।