বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশন্ডপ্রাপ্ত অফিসারদের দুই মাসের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের যে ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে তাতে তাদের কাজের পরিধির কয়েকটি ধারার কথা উল্লেখ রয়েছে।
কী আছে তাতে—
ধারা-৬৪:. ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অপরাধ সংঘটনকারী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার বা গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া এবং হেফাজতে রাখার ক্ষমতা।
ধারা-৬৫—গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা, বা গ্রেপ্তারের জন্য পরোয়ানা জারির ক্ষমতা।
ধারা-৮৩, ৮৪, ৮৬: ওয়ারেন্ট অনুমোদন করার ক্ষমতা বা ওয়ারেন্ট ধারার অধীনে গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অপসারণের আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা।
ধারা-৯৫: ডকুমেন্ট ইত্যাদির জন্য ডাক ও টেলিগ্রাফ কর্তৃপক্ষের দ্বারা অনুসন্ধান এবং আটক করার ক্ষমতা।
ধারা-১০০: অন্যায়ভাবে বন্দী ব্যক্তিদের খোঁজার জন্য অনুসন্ধান পরোয়ানা জারি করার ক্ষমতা।
ধারা-১০৫: সরাসরি তল্লাশি করার ক্ষমতা।
ধারা-১০৭: শান্তি বজায় রাখার জন্য নিরাপত্তা প্রয়োজনের ক্ষমতা
ধারা-১২৪: শান্তি বজায় রাখতে বা ভাল আচরণের জন্য আবদ্ধ ব্যক্তিদের অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষমতা।
ধারা-১২৬:অভ্যাসগত অপরাধীদের কাছ থেকে ভাল আচরণের জন্য জামিন প্রদানের ক্ষমতা
ধারা-১২৭:বেআইনি সমাবেশকে ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা।
ধারা-১২৮: ছত্রভঙ্গ করার জন্য বেসামরিক শক্তি ব্যবহারের ক্ষমতা
ধারা-১৩০: বেআইনি সমাবেশকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য সামরিক শক্তি ব্যবহার করার ক্ষমতা
ধারা-১৪২:জনসাধারণের উপদ্রবের ক্ষেত্রে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা হিসাবে একটি আদেশ জারি করার ক্ষমতা।
ধারা-১৪৮: স্থানীয় তদন্ত করার জন্য তার অধস্তন যে কোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে নিযুক্ত করার ক্ষমতা।
জেলা প্রশাসক/জেলা মেজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে উল্লেখিত দায়িত্ব পালন করারও আদেশ করা হয়।
১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির তফসিল-iii এর বিধান অনুসারে, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সাধারণ ক্ষমতা হয়।।