সোমবার২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ৩০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আাগামী দুই মাস

সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত অফিসাররা যেসব দায়িত্ব পালন করতে পারবেন

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশন্ডপ্রাপ্ত অফিসারদের দুই মাসের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের যে ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে তাতে তাদের কাজের পরিধির কয়েকটি ধারার কথা উল্লেখ রয়েছে।

কী আছে তাতে—
ধারা-৬৪:. ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অপরাধ সংঘটনকারী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার বা গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া এবং হেফাজতে রাখার ক্ষমতা।

ধারা-৬৫—গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা, বা গ্রেপ্তারের জন্য পরোয়ানা জারির ক্ষমতা।

ধারা-৮৩, ৮৪, ৮৬: ওয়ারেন্ট অনুমোদন করার ক্ষমতা বা ওয়ারেন্ট ধারার অধীনে গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অপসারণের আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা।

ধারা-৯৫: ডকুমেন্ট ইত্যাদির জন্য ডাক ও টেলিগ্রাফ কর্তৃপক্ষের দ্বারা অনুসন্ধান এবং আটক করার ক্ষমতা।

ধারা-১০০: অন্যায়ভাবে বন্দী ব্যক্তিদের খোঁজার জন্য অনুসন্ধান পরোয়ানা জারি করার ক্ষমতা।

ধারা-১০৫: সরাসরি তল্লাশি করার ক্ষমতা।

ধারা-১০৭: শান্তি বজায় রাখার জন্য নিরাপত্তা প্রয়োজনের ক্ষমতা

ধারা-১২৪: শান্তি বজায় রাখতে বা ভাল আচরণের জন্য আবদ্ধ ব্যক্তিদের অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষমতা।

ধারা-১২৬:অভ্যাসগত অপরাধীদের কাছ থেকে ভাল আচরণের জন্য জামিন প্রদানের ক্ষমতা

ধারা-১২৭:বেআইনি সমাবেশকে ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা।

ধারা-১২৮: ছত্রভঙ্গ করার জন্য বেসামরিক শক্তি ব্যবহারের ক্ষমতা

ধারা-১৩০: বেআইনি সমাবেশকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য সামরিক শক্তি ব্যবহার করার ক্ষমতা

ধারা-১৪২:জনসাধারণের উপদ্রবের ক্ষেত্রে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা হিসাবে একটি আদেশ জারি করার ক্ষমতা।

ধারা-১৪৮: স্থানীয় তদন্ত করার জন্য তার অধস্তন যে কোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে নিযুক্ত করার ক্ষমতা।
জেলা প্রশাসক/জেলা মেজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে উল্লেখিত দায়িত্ব পালন করারও আদেশ করা হয়।

১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির তফসিল-iii এর বিধান অনুসারে, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সাধারণ ক্ষমতা হয়।।