বুধবার১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি২৭শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায়

বিএনপির সাবেক এমপিসহ ৪জনের যাবজ্জীবন

৪৪ জনের ৭ বছর কারাদণ্ড

আদালতে আসামীরা। ছবি- সংগৃহীত।

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় তিনটি মামলার মধ্যে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।রায়ে বিএনপির সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকি ৪৪ জনের ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।”

;সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মন্ডলের আদালত আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন।এর মধ্যে অস্ত্র মামলায় হাসিবুল ইসলাম হাবিব, আব্দুল কাদের বাচ্চু, রনজুকে যাবজ্জীবন এবং বিস্ফোরক আইনের মামলায় হাসিবুল ইসলাম হাবিব, আব্দুল কাদের বাচ্চু, রনজু ও রিপন নামের চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

’রায় ঘোষণার সময় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৩৭ জন আসামি উপস্থিত ছিলেন। ৪৮ জন আসামির মধ্যে এই মামলার দুজন আসামি ইতিমধ্যে মারা গেছেন এবং ৯ জন আসামি পালাতক রয়েছেন।রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন- সাতক্ষীরা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ, জিপি অ্যাডভোকেট শম্ভুনাথ সিংহ, অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট ফাহিমুল হক কিসলু, হাইকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন প্রমূখ।”

;সাতক্ষীরা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ জানান, এই মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্য, ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা ও অন্যান্য কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আদালত এ রায় দিয়েছেন।”

আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলাম জানান, সম্পূর্ণ সাজানো ও মিথ্যা মামলায় এ রায় দেওয়া হয়েছে। ঘটনার দিন মামলার প্রধান আসামি সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে যান। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে বেলা ১১টায় বিএনপির নেতাকর্মীরা কলারোয়ার দলীয় অফিসের সামনে তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। তাতে আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতাকর্মী আহত হন।