মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের সাজসজ্জায় বেলুনের বদলে ব্যবহার করা হয় কনডম। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচিত হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।”
;এ ঘটনায় গতকাল (শনিবার) প্রতিষ্ঠানের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ব্রাদার রেজাউলকে দায়িত্ব থেকে ইতোমধ্যে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও গঠিত হয়েছে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি। তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে।”
;জানা গেছে- মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন কক্ষ, করিডর, বারান্দায় সৌন্দর্য বৃদ্ধির নির্দেশ দেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুস সোবাহান। কথা ছিল হাসপাতালের প্রধান ফটক ও জরুরি বিভাগের পুরো কক্ষে ফুল ও বেলুন দিয়ে সাজানো হবে। কিন্তু হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানে হাতে গোনা কয়েকটি রঙিন বেলুনের পাশাপাশি সরকারি জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণ (কনডম) ব্যবহার করা হয়।”
;সৌন্দর্য বৃদ্ধির নামে হাসপাতালের এমন কাণ্ডের ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এসব দেখে সাধারণ মানুষ, ছাত্রসমাজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, তাদের সন্তানসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে।”
;এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি- যে বিজয় অর্জনের জন্য দেশের ৩০ লাখ নাগরিক শহীদ হয়েছেন, মা-বোনেরা নিজেদের সম্ভ্রম হারিয়েছেন, সেই বিজয়ের দিন পালন করতে গিয়ে কনডম ব্যবহার করা কোনোভাবেই কাম্য নয়।”
;শরীয়তপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সহ-সভাপতি সাংবাদিক শহিদুজ্জামান খান বলেন-বিজয় দিবসের সাজসজ্জায় যারা এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্ম দিয়েছেন, তাদের বিচারের দাবি জানাই।”
;এদিকে এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা ও অভিযোগের মধ্যে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ব্রাদার ইনচার্জ রেজাউলকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।”
;শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুমন কুমার পোদ্দার বলেন- ঘটনাটি জানার পরপরই সাজসজ্জা ছিঁড়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি। বিষয়টি দুঃখজনক। রেজাউলের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে। তিনি বিএনপি-জামায়াতের কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন কি না, সেটি তদন্ত করা হবে “
;হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. সোবাহান বলেন-এ ঘটনায় ব্রাদার রেজাউলকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না, সে ব্যাপারে তদন্ত হবে।