শনিবার৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ১০ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি২১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকারি চাকুরেদের শ্বশুর-শাশুড়ির চিকিৎসার খরচও দেবে সরকার!

বাংলা সংবাদ২৪ ডেক্স– সরকারি চাকরিজীবীদের একের পর এক সুখবর দিয়েই যাচ্ছেন বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার। মাত্র দুইদিন আগেই ৩১ অক্টোবর শতভাগ পেনশন তুলে নেয়া অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরেদের মৃত্যুর পর তার স্বামী বা স্ত্রী ও প্রতিবন্ধী সন্তানরাও পেনশন সুবিধা সুবিধা পাবেন। এবার সমন্বিত স্বাস্থ্যবীমায় নতুন সংযোগ করার মাধ্যমে একগুচ্ছ সুখবর পেতে চলেছেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

জানা গেছে, সরকারি চাকরিজীবীদের চিকিৎসায় পরিবারের ওপর যেন বাড়তি চাপ না পড়ে বা অন্যের কাছে হাত পাততে না হয়, সেজন্য বেশ আগেই সমন্বিত স্বাস্থ্যবীমার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তবে এক্ষেত্রে নতুন সংযোগ হচ্ছে, সরকারি চাকরিজীবী স্বামী-স্ত্রী, দুই সন্তান, পিতা-মাতা বা শ্বশুর-শাশুড়িকেও এ বীমার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তথ্য মতে, সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে অতিরিক্ত সচিব অরিজিৎ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অর্থ বিভাগের সভাকক্ষে এ সংক্রান্ত কমিটির পঞ্চম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে,

সরকারি কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবীমা প্রবর্তনের লক্ষ্যে কর্মচারীদের ৬ সদস্যের পরিবার (স্বামী-স্ত্রী, দুই সন্তান, পিতা-মাতা/শ্বশুর-শাশুড়ি)-কে ভিত্তি ধরে জীবন বীমা কর্পোরেশন (জীবীক) ও সাধারণ বীমা কর্পোরেশন (সাবীক) দুটি পৃথক প্রস্তাবনা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠাবে। জেলাপ্রশাসক সম্মেলন- ২০১৮ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জনা গেছে।

এ বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. হুমায়ুন কবির বলেন, স্বামী-স্ত্রী, দুই সন্তান, পিতা-মাতা/শ্বশুর-শাশুড়িসহ মোট ছয় সদস্যের পরিবারকে এ প্রকল্পের আওতায় আনা যেতে পারে। এছাড়া স্বাস্থ্যবীমা প্রবর্তনের জন্য একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। নীতিমালার খসড়া তৈরির জন্য তিনি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধির প্রতি অনুরোধ জনান।

এদিকে সভায় জীবন বীমা কর্পোরেশন ও সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের প্রস্তাব অনুসারে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে স্বাস্থ্যবীমা প্রকল্প তৈরি করার একটি প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সরকারের দুই বীমা কোম্পানির এ প্রকল্প অনুসারে সরকারি কর্মচারীদের জনপ্রতি বীমার অংক হবে পাঁচ লাখ টাকা। সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের হাসপাতালে ভর্তি প্রিমিয়াম হবে ছয় হাজার টাকা আর জীবন বীমা কর্পোরেশনের হবে সাত হাজার ৮১৪ টাকা।

জীবন বীমা কর্পোরেশনের প্রিমিয়াম বৃদ্ধি ধরা হয়েছে শতকরা ৩১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের প্রেগন্যান্সি প্রিমিয়াম এক হাজার ১০০ টাকা, অন্যদিকে জীবন বীমা কর্পোরেশনের একই প্রিমিয়ামটি হবে পাঁচ হাজার ৪৬৮ টাকা। জীবন বীমা কর্পোরেশনের প্রিমিয়াম বৃদ্ধির শতকরা হার হচ্ছে ৩৯৭ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।