সোমবার৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি২৫শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে জিনিসগুলো শুধু সায়েন্স ফিকশনে ছিল, অথচ এখন বাস্তব

দেখা যাচ্ছে বৈজ্ঞানিক কল্প-কাহিনিভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং লেখকরা আধুনিক প্রযুক্তির সত্যিকারের আবিষ্কারক৷ মাত্র কয়েক দশক আগে এসব চলচ্চিত্র বা বইয়ে যেসব জিনিসপত্রের কথা বলা হয়েছিল আজ তা নিত্যদিনের ব্যবহার্য বস্তু৷

কথা বলা কম্পিউটার

১৯৬৮ সালের চলচ্চিত্র ‘২০০১-আ স্পেস ওডিসি’ তে নির্মাতা স্ট্যানলে কুবরিক দেখিয়েছিলেন মানুষ ও কম্পিউটার কীভাবে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে৷ কম্পিউটার হাল ৯০০০-কে (ছবিতে দেখা যাচ্ছে) যখন বন্ধ করার কথা ভাবছিলেন এর মালিক, ঠিক তখনই গুপ্তঘাতকে পরিণত হয় এটি৷ তবে আধুনিক কম্পিউটার সহযোগী সিরি বা কর্টানা এখনও পর্যন্ত মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করছে৷

ডিজিটাল নোটপ্যাড

২০১০ সালে অ্যাপল যখন তাদের প্রথম আইপ্যাড বাজারে আনে, স্টারট্রেক ভক্তরা এতে মোটেও অবাক হননি, কেননা, ৩০ বছর আগে থেকেই স্টারট্রেকের সৌজন্যে তারা এ ধরনের যন্ত্রের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন৷ ক্যাপ্টেন পিকার্ড এবং তার ক্রুরা এ ধরনের প্যাড ব্যবহার করতেন একে অপরের সঙ্গে তথ্য বিনিময় ও রিপোর্ট লেখার জন্য৷

তারহীন ফোন

স্টার ট্রেকের আরেকটি আবিষ্কার হলো কমিউনিকেটর, যার সাহায্যে ক্যাপ্টেন কার্কের ক্রুরা দূরের অন্য গ্রহ থেকে মহাকাশযানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করত৷ আর বাস্তবে মোটোরোলা বিশ্বের প্রথম ফ্লিপ ফোনের নাম রেখেছিল ‘স্টারট্যাক’৷ এটাকে কাকতালীয় ছাড়া আর কি বলবেন!

আপনার টেলিভিশনের গুপ্তচর

জর্জ অরওয়েলের বিখ্যাত উপন্যাস ‘১৯৮৪’ এ ‘বিগ ব্রাদার’ বা নেতা টেলিস্ক্রিনের সাহায্যে পুরো সমাজের বিভিন্ন ব্যক্তির ওপর নজর রাখতেন৷ এই টেলিস্ক্রিনগুলো হলো মূলত টেলিভিশন, যেগুলো বিভিন্ন ক্যামেরার সঙ্গে যুক্ত৷ সম্প্রতি উইকিলিকস জানিয়েছে, সিআইএ ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন ব্যবহার করে এ ধরনের স্মার্ট টিভি নজরদারির উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে৷