বাংলা সংবাদ২৪ ডেক্স–দেশে ধান উৎপাদিত উপজেলা গুলোতে চলছে বোরো ধান কাটাই-মাড়াইয়ের কাজ। ফলন ভালো হলেও ধানের নায্য দাম না পাওয়ায় উৎপাদন খরচ উঠবে কিনা এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা।
বর্তমান মৌসুমে দেশে ধানের উৎপাদন ভালো হওয়া সত্তে ও দেশে যখন বিদেশ থেকে ট্রাকে ট্রাকে চাল ঢুকছে ঠিক তখনই এক শ্রেণির মিল-মালিকদের যোগসাজশে কম দামে বিক্রি হচ্ছে ধান।
এমত অবস্থায় ভারত থেকে চাল আমদানি করছেন দেশের কিছু ব্যবসায়ী। বিদেশ থেকে চাল আমদানি করায় ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে দেশের কৃষকদের। আমদানিকারক ও ভারতের কৃষকরা লাভবান হলেও ক্ষতিস্থ হচ্ছে দেশের কৃষকরা।
সোনামসজিদ স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারক তাসনিম এন্টারপ্রাইজের সত্তাধিকারী বাবুল জানান, আমরা ভারত থেকে চাল আমদানি করছি। দেশের বাজারে আমদানি করা চালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মূলত ভারত থেকে ৩৯০ থেকে ৪০০ ডলার দিয়ে চাল আমদানি করে থাকি। আমাদের আগের এলসি করা চালেও গত ২২ মে‘র পরে নতুন করে সরকারের আরোপ করা ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। যার কারণে ক্ষতির মুখে আমাদেরও পড়তে হবে।
উত্তর বঙ্গের প্রান্তিক কৃষক সাইফুদ্দিন জানান, দেশে ধানের যে উৎপাদন হয়েছে তা দিয়ে এক প্রকার দেশের চাহিদা মিটত। সরকার বিদেশ থেকে চাল আমদানি করাতেই আমরা ধানের দাম কম পাচ্ছি। সরকারের কাছে অনুরোধ চাল আমদানি বন্ধ করে দেশের কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করে তা বিদেশে রফতানি করতে শুরু করলে নায্য দাম পাব।
সহকারি কাস্টমস কমিশনার সোনামসজিদস্থল বন্দর বিল্লাল হোসেন জানান, চলতি মাসে সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে প্রায় এক হাজার ২০০ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। সবশেষ গত বুধবার (২২) চাল ১১ ট্রাকে ২৪২ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয় ।