বাংলা সংবাদ২৪ডেক্স–চিকিৎসাধীন মাহফুজউল্লাহর সঙ্গে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে থাকা তার মেয়ে নুসরাত হুমায়রা রোববার সন্ধ্যায় বলেন, “বাবা বেঁচে আছেন। বাবার পাশেই আমি বসে আছি।”এর আগে বিকালে মাহফুজউল্লাহ মারা গেছেন বলে খবর ছড়িয়েছিল।
ব্যাংককের হাসপাতালটির চিকিৎসকরা মাহফুজউলাহকে বাঁচাতে সর্বোত চেষ্টা করছেন বলে জানান তার মেয়ে।
তখন বিএনপি নেতা ও ড্যাবের সাবেক মহাসচিব এ জেড এম জাহিদ হোসেন টোয়েন্টিফোর বলেছিলেন, বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে মাহফুজউল্লাহর লাইফ সাপোর্ট খুলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এরপর মাহফুজউল্লাহর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নামে বিবৃতিও আসে দলটির পক্ষ থেকে।
তবে বিএনপি সমর্থক চিকিৎসকদের নেতা জাহিদ সন্ধ্যার পর আবার বলেন, “উনার লাইফ সাপোর্ট অফ করা হয়েছে, তবে হদস্পন্দন আছে। উনার মৃত্যুর ঘোষণা দেননি চিকিৎসকরা।
৬৯ বছর বয়সী মাহফুজউলাহ গত ২ এপ্রিল হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। স্কয়ারে কয়েকদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১১ এপ্রিল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্যাংককে নিয়ে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
তিনি হৃদরোগ, কিডনি ও উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। এর আগে ব্যাংককে একবার তার বাইপাস সার্জারিও হয়েছিল।
ছাত্রাবস্থাতেই মাহফুজউল্লাহ সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। বাংলাদেশের একসময়ের জনপ্রিয় সাপ্তাহিক বিচিত্রার ১৯৭২ সালে জন্মলগ্ন থেকেই তিনি জড়িত ছিলেন। বিভিন্ন বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকে কাজ করেছেন তিনি। পরিবেশ বিষয়ক সাংবাদিকতায় তার অবদান রয়েছে।
সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহর জন্ম ১৯৫০ সালে নোয়াখালী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যা ও সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন।