শুক্রবার৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ১১ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি২৬শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তীব্র তাপপ্রবাহ আসছে, উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রি- আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের

ছবি-সংগৃহীত

বাংলা সংবাদ২৪ ডেক্স–মাত্র কয়েকদিন বাদেই শুরু হচ্ছে বৈশাখ মাস। শুরু হতে না হতেই দেশজুড়ে কালবৈশাখী ঝড়ে ও বজ্রপাতে প্রাণ ঝড়েছে ১১ জনের। তবে এই ঝড়ের তীব্রতা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে থাকবে তীব্র বজ্রঝড়ও। এসব চলে গেলেই মাঝে মধ্যে তীব্র দাবদাহ নিয়ে রুক্ষমূর্তি ধারণ করবে প্রকৃতি। তাই এপ্রিল মাসে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ওপরে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়া বিদরা।

তবে এপ্রিল মাসেই দেশের উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চলে ২ থেকে ৩টি বজ্রসহ মাঝারি অথবা তীব্র কালবৈশাখী অথবা তীব্র বজ্রঝড় ও দেশের অন্যান্য স্থানে ৪ থেকে ৫ দিন হালকা অথবা মাঝারি কালবৈশাখী অথবা মাঝারি বজ্রঝড় হতে পারে বলেও সর্তক করে দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে দাবদাহের ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি তীব্র তাপপ্রবাহ (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে) এবং অন্যান্য স্থানে ১ থেকে ২টি মৃদু তাপপ্রবাহ (৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) অথবা মাঝারি তাপপ্রবাহ (৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলিসিয়াল) বয়ে যেতে পারে।

অন্যদিকে মে মাসের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে-উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ২ থেকে ৩ দিন মাঝারি অথবা তীব্র বজ্রঝড় ও দেশের অন্যান্য স্থানে ৩ থেকে ৪ দিন হালকা অথবা মাঝারি বজ্রঝড় হতে পারে। মে মাসে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ১ থেকে ২টি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং অন্যান্য স্থানে ২ থেকে ৩টি মৃদু অথবা মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

অর্থাৎ মে মাসে তাপপ্রবাহ দীর্ঘায়িত হওয়ার সম্ভাবনা দেখছে আবহাওয়া অফিস।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চৈত্র মাসে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বাতাস গরম হয়ে উপরে ওঠে। পরে জলীয়বাষ্পের সঙ্গে মিশে এই গরম বাতাস যখন দ্রত ঠাণ্ডা হয় তখনই বজ্রমেঘের সৃষ্টি হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আহমদ এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন ইতোমধ্যে কৃষিমন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন।

যার অনুলিপি পাঠানো হয়েছে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে ।