রবিবার১১ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ১৩ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি২৮শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাঁজার চাহিদা বাড়ছে জার্মানিতে

সংগৃহীত- ছবি

ডেক্স রিপোট-জার্মানির স্বাস্থ্য খাতের জন্য সিদ্ধান্তটি বেশ বিতর্কিতই ছিল। ২০১৭ সালের ১০ মার্চ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীদের গাঁজা সংগ্রহের অনুমতি দেয় সরকার। এরপর থেকেই এর চাহিদা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলছে।

চিকিৎসার প্রয়োজনে দুই বছর হলো জার্মানিতে রোগীরা বৈধভাবে গাঁজা সংগ্রহ করতে পারছেন। এই অনুমোদনের পর দেশটিতে গাঁজার চাহিদা ব্যাপকহারে বেড়েছে। ফলে ব্যবসার বড় সম্ভাবনা দেখছে বিদেশি কোম্পানিগুলো।

ডাক্তার, ফার্মেসি আর স্বাস্থ্য বিমা কোম্পানিগুলো এই চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। কেননা চাহিদা অনুযায়ী দেশটিতে গাঁজার সরবরাহ নেই। এই পরিস্থিতিই এখন ব্যবসার বড় দুয়ার খুলে দিয়েছে গাঁজা সরবরাহকারী বিদেশি কোম্পানিগুলোর জন্য।

কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান টিলরে জার্মানির সব ফার্মেসিতে খুব শিগগিরই গাঁজার ফুল সরবরাহ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে ডাচ প্রতিষ্ঠান নুভেরা বলেছে, কয়েক লাখ রোগীর কাছে গাঁজা সরবরাহের জন্য জার্মানিকে তারা গুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে বিবেচনা করছে।

জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশে ঔষধ হিসেবে গাঁজা রপ্তানির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলও। দেশটিতে গাঁজার চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে ২০০টি গবেষণা চলমান রয়েছে।

স্বল্প আর্দ্রতা আর উপযুক্ত আবহাওয়ার কারণে ইসরায়েলে গাঁজা চাষও ভাল হয়। ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, প্রতি বছর সেখানে ১৮ টনের বেশি ঔষধি গাঁজা উৎপাদন হয়। দেশটির অন্যতম ঔষধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান প্যানাক্সিয়ার প্রধান দাদি সেগাল জানান, ইসরায়েল থেকে আমদানি করতে আগ্রহী এমন বেশ কিছু জার্মান প্রতিষ্ঠানের সাথে তারা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সরকারি পরিসংখ্যান না থাকলেও জার্মানিতে গাঁজার ঔষধের চিকিৎসা নেন এমন রোগীর সংখ্যা এখন প্রায় ১৫ হাজার বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই সংখ্যা দিন দিন