চাঁদপুর শহরের বিপণীবাগ বাজারের পাবলিক টয়লেটের পাশ থেকে দধি বিক্রেতা নারায়ণ ঘোষের বস্তাবন্দী গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে শহরের বিপণীবাগ বাজারের টিপটপ সেলুনে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।”
;ঘটনার পর ওই সেলুন থেকেও হত্যার আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশ ও পিবিআই।নিহত দধি বিক্রেতা চাঁদপুর শহরের ঘোষপাড়া মৃত যোগল কৃষ্ণ ঘোষের ছেলে নারায়ণ ঘোষ (৬২)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দধি ও মাঠার ব্যবসা করে আসছিলেন। নারায়ণ ঘোষের এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে।পুলিশ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।”
;এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। অপরদিকে ঘটনার পর থেকে কৃষ্ণ কর্মকারের টিপটপ সেলুনের কর্মচারী সন্দেহভাজন রাজু শীল পলাতক রয়েছেন।”
;বিপণিবাগ বাজারের মার্কেটের নাইটগার্ড ইসমাইল বকাউল বলেন- বাজারের টিপটপ সেলুনের মালিক কৃষ্ণা কর্মকারের দোকান থেকে কর্মচারী রাজু শিল রাত ১টার দিকে বস্তা নিয়ে টানাহেঁচড়া করতে করতে বাইরে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পরে রাত ২টার সময় সাটার খোলে পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে দেখি। এত রাতে কী করা হচ্ছে? এমন প্রশ্ন করলে সে বলে, দোকার পরিষ্কার করছি।”
;ময়লাগুলো বস্তায় করে ফেলে দিয়ে আসছি। পরে সকালে সংবাদ পাই সেলুনে নারায়ণ ঘোষকে জবাই করে খুন করা হয়।নিহতের ছেলে রাজু আরটিভি নিউজকে জানান, বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে বাবা ঘর থেকে বের হয়। আর ফিরে আসেনি। সকালে এসে দেখি বাবাকে মেরে বস্তায় রেখে দিয়েছে।”
;চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় জানান- প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ধারালো কোনো বস্তু দ্বারা গলা কেটে তাকে খুন করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি।”
;খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আসিফ মহিউদ্দিন, চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুর রশিদসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়াওকাজ করছে পিবিআই, ডিবির তদন্তকারী দল ।”











