বাংলা সংবাদ২৪ ডেক্স–বুধবার বিকালে নোয়াখালী জেলা প্রশাসন ও জেলা নির্বাচন অফিস আয়োজিত জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা এবং নির্বাচন কর্মকর্তাও সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়কালে তিনি এ সব কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা বলেছেন, ‘নির্বাচনের বড় হাতিয়ার হলো ভোটার বা জনগণ। নির্বাচনে সম্পৃক্ত হয়ে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে ভোটাররাই তাদের নেতা নির্বাচন করবেন। জনগণ ভোট দিতে না পারলে নির্বাচন কমিশনের প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনসহ আমরাই এ মুহূর্তে নির্বাচন করার জন্য একমাত্র হাতিয়ার হলেও সব কিছু নয়। সব কিছু হলো ভোটার বা জনগণ। নির্বাচনে তাদের সম্পৃক্ত করে আইনগতভাবে নির্বাচনের যে নিয়ম কানুন আছে, সেটা প্রতিপালন করে প্রতিযোগিতামূলক যার যার অবস্থানে এ নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করানোই হলো বড় কথা। তাই জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে আমরা সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছি।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দেশে এক স্তর বিশিষ্ট সংসদের কারণে আমরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্বপর্ণভাবে নিয়েছি কিন্তু এ নির্বাচনে বড় একটি রাজনৈতিক দল অংশ গ্রহণ না করায় নির্বাচন যেভাবে প্রতিদ্বন্ধিতামূলক হওয়ার কথা সে ভাবে হয়নি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় নোয়াখালীর যে কয়েকটি উপজেলায় নির্বাচন হবে তা সম্পূর্ণ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। কোনো প্রকার অনিয়ম হলেই কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে।
এ সময়উপস্থিত ছিলেন কুমিলা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) মো. দুলাল তালুকদার, পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী ড. মাহে আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আবু ইউসুফ, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রবিউল আলমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ ।