নিজের কিডনি দিয়ে স্বামীর জীবন বাঁচিয়েছিলেন, সেই স্বামী সুস্থ হয়ে জড়িয়ে পড়লেন পরকীয়া ও অনলাইন জুয়ায়।
শুধু তা-ই নয়, স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে বসবাস করছেন তিনি।
অমানবিক ও হৃদয়বিদারক এ ঘটনাটি ঘটেছে সাভারের কলমা এলাকায়। অকৃতজ্ঞ স্বামী তারেকের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করেছেন টুনি।তারেক গ্রেপ্তার হলেও বর্তমানে জামিনে আছেন।
বিয়ের মাত্র দুই বছরের মাথায় টুনি জানতে পারেন— তার স্বামী মোহাম্মদ তারেকের দুটি কিডনি প্রায় অচল। তাকে বাঁচাতে নিয়মিত ডায়ালাইসিস ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। অথচ এর মাত্র এক বছর আগে সন্তানের মা হয়েছেন টুনি, সংসার জীবনেরও সবে দুই বছর পার হয়েছে।
এমন সময়ে এই দুঃসংবাদ তার জীবনের সবকিছু লন্ডভন্ড করে দেয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়– ২০০৬ সালে পারিবারিকভাবে কলেজেপড়ুয়া তরুণী উম্মে সাহেদীনা টুনির সঙ্গে মালয়েশিয়া প্রবাসী যুবক তারেকের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পরই তারেক ও টুনির সংসার আলো করে আসে একটি পুত্রসন্তান।
নাম রাখা হয় আজমাইন দিব্য। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। তবে, ২০০৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন তারেক। চিকিৎসকেরা জানান, তার দুটি কিডনিই প্রায় অচল। রোগীকে বাঁচাতে হলে অতি দ্রুত ডায়ালাইসিস শুরু করাতে হবে।