বাংলা সংবাদ ডেক্স-আজ ৩ ফেব্রুয়ারি পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ পুরুষ অধিকার ফাউন্ডেশন আজ রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে। তারা নারীদের পরকীয়া বন্ধে দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সংগঠনের মহাসচিব প্রকৌশলী ফারুক শাজেদ শুভ, জে এইচ খান শাহীন, মো. আনোয়ার হোসেন, হাকিম মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. আতিকুর রহমান, সাকসেস হিউমেন রাইটস সোসাইটির চেয়ারম্যান মো. সোবাহান বেপারী, বাংলাদেশ তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মো. রাশেদুজ্জামান, ডিভোর্স দেওয়া স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলার শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর সহযোগী অধ্যাপক ভুক্তভোগী খালেদ মাহমুদের বাবা মো. মোমতাজ আলী শেখ।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পুরুষ অধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শেখ খায়রুল আলম। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আজ ৩ ফেব্রুয়ারি পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস। ২০১৬ সালের এ দিনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রাজপথে দাঁড়িয়ে আমি একাই পুরুষ নির্যাতনের প্রতিবাদ করেছিলাম। ২০১৮ সাল থেকে পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস শান্তিপূর্ণভাবে পালন করছি। এ বছর এই দিবসে দাবি জানাচ্ছি ৩ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস ঘোষণা করা হোক।
শেখ খায়রুল আলম বলেন, আজ ঘরে-বাইরে সব জায়গায় পুরুষরা নির্যাতিত হচ্ছে। কিন্তু আত্মসম্মানের জন্য প্রকাশ করতে পারছে না। আবার পুরুষ নির্যাতন দমন আইন না থাকায় আইনের আশ্রয় নিতেও পারছে না। নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলাকে অনেকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। পরকীয়া ও অবাধ্য স্ত্রীকে শাসন করতে গেলেই স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলা দিচ্ছে। বাংলাদেশের আইনে দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি এমন কোনো নারীর সঙ্গে তাঁর স্বামীর সম্মতি
ছাড়া যৌনসঙ্গম করে এবং অনুরূপ যৌনসঙ্গম যদি ধর্ষণের অপরাধ না হয় তাহলে সে ব্যক্তি ব্যভিচারের দায়ে দায়ী হবে। যার শাস্তি সাত বছর সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ উভয়দণ্ড। এ রকমক্ষেত্রে স্ত্রীলোকটি দুষ্কর্মের সহায়তাকারিণী হিসেবে গণ্য হবে না।’
খায়রুল আলম বলেন, আইনে নারীদের শাস্তি না থাকার কারণে তারা পরকীয়ায় উৎসাহিত হচ্ছে। আমরা অবিলম্বে এই আইনটি সংশোধন করে নারীদেরও শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
খায়রুল আলম আরো বলেন, চট্টগ্রামের চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের আত্মহত্যায় প্ররোচণাকারী স্ত্রীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আজকের এই দিবসে জাতির কাছে প্রশ্ন ডিভোর্সের পর যৌতুক ও ধর্ষণের মামলা কেন? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর সহযোগী অধ্যাপক খালেদ মাহমুদ তাঁর স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি যৌতুক ও ধর্ষণের মামলায় দুই মাস ধরে জেলহাজতে আছেন।
তাই প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি, তাঁর বিরুদ্ধে যৌতুক ও ধর্ষণের মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য। অপরাধীর সাজা আমরাও চাই। কিন্তু নিরাপরাধ কোনো মানুষ যাতে সাজা না পায়। আমরা সব সময় আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছি।

পুরুষ নির্যাতন দিবসে –নারীদের পরকীয়া বন্ধে আইন সংশোধনের দাবি
সংবাদ প্রকাশিত:
