logo
ইসলাম গ্রহণ করে আইএস-এ যোগ-বিয়ে ২বাংলাদেশিকে
সংবাদ প্রকাশিত:

যুক্তরাষ্ট্রের কানসাসে শিক্ষকতা করতেন। ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরকরণের পর জঙ্গি সংগঠন আইএসে যোগ দিয়ে নারীদের নেতৃত্ব দিতেন। নিজের মেয়ে-সহ ১০০ জনের বেশি নারীকে জঙ্গি প্রশিক্ষণও দিয়েছিলেন অ্যালিসন ফ্লুক-এক্রেন। তিনি মঙ্গলবার আমেরিকার আদালতে দোষ স্বীকার করেছেন “

;মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, একাধিকবার বিয়ে করেছেন অ্যালিসন। কানসাসে প্রথম স্বামীর সঙ্গে দুই সন্তান হয়েছিল। তারইমধ্যে ২০০৭ সালে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করেন অ্যালিসন। স্নাতক স্তরে পড়াশোনার সময় তুরস্কের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে দেখা হয়। ”

;পরবর্তীতে তাকে বিয়েও করেন। দুজনের পাঁচ সন্তান হয়। তারপর ২০০৮ সালে স্বামীর সঙ্গে কায়রোয় চলে যান। এর তিন বছর পরে লিবিয়ায় চলে গিয়েছিলেন দুজনে। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, ২০১২ সালের মার্কিন কূটনীতিবিদদের কমপ্লেক্সে জঙ্গি হামলার সময় লিবিয়ায় থাকছিলেন অ্যালিসনরা।”

;সেইসময় জঙ্গি সংগঠনকে গুরুত্বপূর্ণ নথি দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই সংগঠন কোনও হামলা চালায়নি বলে ২০১২ সালের শেষদিকে সিরিয়ায় চলে যান। তারপর অ্যালিসন তুরস্কে ফিরে আসেন। তবে সিরিয়ায় থেকে ইসলামিক স্টেটের স্নাইপারের হিসেবে কাজ করছিল অ্যালিসনের স্বামী। এরপর আবার ২০১৪ সালে সিরিয়ায় চলে যান অ্যালিসনও। পরের বছরেই আবার দুজন ইরাকের মসুলে চলে গিয়েছিলেন।”

;সেখানে মৃত আইএস জঙ্গিদের বিধবা স্ত্রীদের ’সাহায্য’ করছিলেন অ্যালিসন। ফের সিরিয়ায় ফিরে আসার পর মৃত্যু হয় অ্যালিসনের স্বামীর। পরে দুই বাংলাদেশি আইএস জঙ্গির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল অ্যালিসনের (প্রথমে একজনের সঙ্গে হয়েছিল, তার মৃত্যুর পর অপরজন)।”

;তারইমধ্যে আইএসের নারী বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এই মার্কিন জঙ্গি। অবশেষে, চলতি বছরের শুরুর দিকে সিরিয়া থেকে অ্যালিসনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে হেফাজতে নেয় আমেরিকা। ”

;আইএসকে সহায়তা প্রদান এবং ষড়যন্ত্রের ধারায় মামলা করা হয়। যে ধারায় সর্বোচ্চ ২০ বছরের জেল হতে পারে তার। আগামী ২৫ অক্টোবর ভার্জিনিয়ার আদালতে সাজা ঘোষণা করা হবে অ্যালিসনের।.