logo
 ইসরায়েলি পুলিশের হামলা আল-আকসা মসজিদে,আহত ৩১
সংবাদ প্রকাশিত:

;পূর্ব জেরুজালেমে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি পুলিশের হামলায় কমপক্ষে ৩১ জন মুসল্লি আহত হয়েছেন। পবিত্র এই মসজিদে মুসলিম ও ইহুদিদের মধ্যে সম্প্রতি সংঘর্ষের ঘটনা বেড়ে চলেছে।আহত ১৪ ফিলিস্তিনিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।”

;ইসরায়েলি পুলিশ অভিযোগ করেছে, শত শত ফিলিস্তিনি পাথর ও আতশবাজি ছুড়তে শুরু করে এবং ওয়েস্টার্ন ওয়ালের পাশে কাছে চলে আসে, যেখানে ইহুদিদের উপাসনা চলছিল। পরে তাতে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে।”

;প্রত্যক্ষদর্শীরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন- শুক্রবার ফজরের পর পুলিশ আল-আকসা কম্পাউন্ডের ভেতরে প্রবেশ করে উপস্থিত দুই শতাধিক মুসল্লির ওপর রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ শুরু করে। ওই সময় ফিলিস্তিনিরা তাদের দিকে পাথর ছুড়ছিল। সংবাদ সংগ্রহ করতে উপস্থিত থাকা একদল সাংবাদিকদের খুব কাছ থেকে রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ।”

;সম্প্রতি হারাম শরিফ হিসেবে পরিচিত মসজিদুল আকসার মূল অংশে (ইহুদিরা টেম্পল মাউন্ট বলে) সহিংসতা বেড়েছে। যা বড় ধরনের ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতে রূপ নিতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।”

;ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে- গত মার্চ থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে কমপক্ষে ২৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর ইসরায়েলি পুলিশ ও চিকিৎসকদের মতে একই সময়ে ১৪ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।চলতি বছরে মুসলমানদের রমজান ও ইহুদিদের পাসওভার উদযাপন একই সময়ে পড়ে যাওয়ায় অধিক সংখ্যক মুসলিম ও ইহুদি আল-আকসায় জড়ো হচ্ছেন।”

;ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থানে ইহুদিদের উপাসনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের অভিযোগ করেছে ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনিরা এ ধরনের কাজকে উস্কানি হিসেবে দেখে থাকে।”

;যদিও ইসরায়েল এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, বিগত বছরের মতো ইসরায়েল রমজানের শেষ দিনগুলোতে ইহুদিদের সফর বন্ধ করেছে যা (আজ) শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে, রমজানের শেষ দিনগুলোতে আল-আকসায় মুসলমানদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পায়।;