ছাত্র অধিকার পরিষদের দুই নেতাকে ঢাবি ছাত্রীর করা ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। রবিবার রাতে ফেইসবুক লাইভে এসে এ অভিযোগ করেন তিনি। ওই দুই আসামি হলেন নাজমুল হুদা ও সাইফুল হোসেন। ছাত্র অধিকার পরিষদের অভিযোগ, রবিবার দুপুর ২টার দিকে মগবাজার থেকে ডিবি পরিচয়ে নাজমুল হুদাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। চানখারপুল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাইফুল ইসলামকে। তিনি ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক।
এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক সোহরাব হোসেনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান সংগঠনের আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন। রাজধানীর লালবাগ থানায় করা মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে। একই মামলার আসামি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। তাদের গ্রেপ্তার দাবিতে মামলার বাদী ওই ছাত্রী রাজু ভাস্কর্যে অনশনে বসেন। অসুস্থ হয়ে পড়ায় শনিবার রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ছাড়া শনিবার শাহবাগ মোড় অবরোধ করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার দাবি করে। এ মামলার আসামিরা হলেন হাসান আল মামুন, নাজমুল হাসান, নুরুল হক নুর, মো. সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা ও আবদুল্লাহ হিল বাকি।
এ বিষয়ে নুরুল হক নুর বলেন, নাজমুল হুদা মগবাজারে একটি চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় ডিবি পরিচয়ে কে বা কারা তাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে আর তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। একই সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-আহ্বায়ক সোহরাব হোসেনের খোঁজ নেই বলেও জানান নুর। রাশেদ খাঁন বলেন, দুপুর ১টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক সোহরাব হোসেনের খোঁজ নেই। তাকেও তুলে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
তবে নাজমুল হুদাকে তুলে নিয়ে যাওয়া বিষয়ে রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। এই নামে কেউ আটক নেই। রমনা জোনের এডিসি হারুন অর রশিদ বলেন, আমরা এই নামে কাউকে আটক করিনি।
ডিএমপি ডিসি মিডিয়া ওয়ালিদ হোসেন বলেন, মামলার আসামি আটক বা গ্রেপ্তার বিষয়টি তদন্ত কর্মকর্তার এখতিয়ারে থাকে। তবে ঢাবি ছাত্রীর ধর্ষণের মামলায় কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা আমাকে জানিয়েছেন।
লালবাগ থানায় যোগাযোগ করা হলে তারাও নাজমুল বিষয়ে কিছু জানেন না বলে নিশ্চিত করেন।