logo
সিলেটে কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগের ৬ কর্মী!
সংবাদ প্রকাশিত:

সিলেট সংবাদদাতা– সিলেটের এমসি কলেজ থেকে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রলীগের ছয় কর্মীর নাম উঠে এসেছে। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ গতকাল শুক্রবার রাতভর অভিযান চালালেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে সাইফুর রহমান নামে অভিযুক্ত এক ছাত্রলীগকর্মীর কক্ষ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ধর্ষিতা তরুণীকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি প্রাইভেটকার যোগে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে এমসি কলেজে বেড়াতে আসেন ওই তরুণী। সন্ধ্যা হয়ে এলে ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগের ছয় কর্মী মিলে স্বামীসহ তরুণীকে তুলে নেন পার্শ্ববর্তী কলেজ ছাত্রাবাসে। পরে তারা স্বামীকে বেঁধে মারধর করে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করা হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে স্বামীসহ ওই তরুণীকে উদ্ধার করেন। পরে ধর্ষিতাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়। ধর্ষণের ঘটনায় সময়ক্ষেপণ হওয়ায় ধর্ষকরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলেও অভিযোগ ওঠেছে।

আজ শনিবার এ ঘটনায় সকালে তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে শাহপরাণ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ও কলেজটিতে ইংরেজিতে মাস্টার্সে অধ্যয়রত শাহ মাহবুবুর রহমান রণি, একই বিভাগে অধ্যয়নরত ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান মাছুম, এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা এম সাইফুর রহমান, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা অর্জুন এবং বহিরাগত ছাত্রলীগ নেতা রবিউল ও তারেক রয়েছেন অভিযুক্তের তালিকায়।

এদের মধ্যে সাইফুর রহমানের বাড়ি বালাগঞ্জে, রবিউলের বাড়ি দিরাইয়ে, মাহফুজুর রহমান মাছুমের বাড়ি সিলেট সদর উপজেলায়, অর্জুনের বাড়ি জকিগঞ্জে, রণি হবিগঞ্জের এবং তারেক জগন্নাথপুরের বাসিন্দা।

কাইয়ুম চৌধুরী  শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)- অভিযুক্তের নাম প্রকাশসহ ধর্ষণ ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।