মঙ্গলবার১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কখনও এসপি কখনও ডিআইজি আজাদ!

পুলিশের হাতে আটক প্রতারক আজাদ। ছবি-সংগৃহীত।

বাংলা সংবাদ২৪ ডেস্ক– ডিআইজি ও এসপিসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে নানা শ্রেণি ও পেশার মানুষের সাথে প্রতারণার অভিযোগে ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ আজাদ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।  প্রায় ডজনখানিক ভুক্তভোগীদের অভিযোগে রাজধানীর খিলগাঁও থেকে তাকে আটক করা হয়।

ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ আজাদ কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার হরিচর ইউনিয়নের বাকুই গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে। তিনি খিলগাঁও এলাকায় আনসার কোয়ার্টারের পাশে খিলগাঁও আবাসিক এলাকায় থাকতেন।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) কুমিল্লা পুলিশ কার্যালয়ে জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারক ফখরুদ্দিন জানায়, ১৯৯১ সালে সাব ইন্সপেক্টর পদে যোগাদান করার পর শিক্ষানবিশ অবস্থাতেই এক লাখ ২৫ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের অপরাধে তার চাকুরি চলে যায়। এরপর ২০০০ সালে সে ডিবি পরিচয় ছিনতাইকালে তৎকালিন ডিএমপি ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়।

সাত মাস হাজতবাস শেষে সেই স্থায়ীভাবে চাকুরিচ্যুত হয়। তারপর থেকে সে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নাম পরিচয় ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। তার আটকের সংবাদ পেয়ে ইতোমধ্যে প্রতারণার শিকার হওয়া ব্যক্তিরা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে যোগাযোগ শুরু করেছে।

তিনি আরও জানান, ফখরুদ্দিন কখনও ডিআইজি, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত সুলিশ সুপার আবার কখনও সহকারি পুলিশ সুপার পরিচয় দিয়ে আসছেন। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে মানুষের দুর্বলতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

সর্বশেষ কনস্টেবল নিয়োগে কুমিল্লায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে আশফাক আহমেদ নামে এক প্রার্থীর পিতাকে ডিআইজি চট্টগ্রাম রেঞ্জের স্বাক্ষর জাল করে নকল চিঠি দেখিয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য ইন্সপেক্টর জেনারেল এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে উল্লেখ করে। পরবর্তীতে প্রার্থীর পিতা সাইদুল ইসলাম (অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক) এর কাছ থেকে ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। আশফাক আহমেদের মত প্রতারণার শিকার হয়েছেন রেজাউল করিম এবং মো.আনোয়ারুল ইসলামসহ একাধিক ভুক্তভোগী।

পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, প্রতারক ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ আজাদ এবং তার গাড়ি চালক পুলিশের কাছে আটক রয়েছে। ফখরুদ্দিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লাহ-আল মামুন, সাখাওয়াত হোসেন, প্রতারক ফখরুদ্দিনকে আটকে নেতৃত্বে থাকা সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমন।