বৃহস্পতিবার১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এনজিও’র কিস্তি নিয়ে কলহে স্ত্রীকে খুন

জেলা প্রতিনিধি-

শেরপুরের নকলায় স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ গাজীপুর থেকে রাসেল মিয়া (৪২) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১।আজ সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে র‌্যাব-১ গাজীপুর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর এ এস এম মাঈদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন “

;এর আগে রোববার (৪ ডিসেম্বর) গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত ব্যক্তি নকলা উপজেলার চন্দ্রকোণা ইউনিয়নের জানকিপুর গ্রামের বিষু মিয়ার মেয়ে শাহনাজ আক্তার (৩৫)। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার বৈরাগীরচালা এলাকার মৃত মজিবুর রহমান খানের ছেলে রাসেল মিয়া। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।”

;ভুক্তভোগীর স্বজনদের বরাত দিয়ে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) হান্নান মিয়া জানান- প্রায় পাঁচ বছর আগে শাহনাজ ও রাসেলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বাড়ি তুলে বসবাস করে আসছিলেন রাসেল। কিছুদিন পর থেকে পারিবারিক বিভিন্ন বিয়ষসহ স্থানীয় এনজিও’র কিস্তি নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ শুরু হয়।”

;শনিবার (৩ ডিসেম্বর) ওই সমিতির কিস্তির টাকা নিয়ে রাত ১২টায় তাদের মধ্যে আবারও ঝগড়া হয়। পরে একই দিন রাত ৩টায় শাহনাজকে মারধর করে ঘরের বাইরে থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে রাসেল পালিয়ে যান। এদিকে সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরে থেকে দরজায় তালা ঝুলতে দেখে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। এ সময় তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে তারা শাহনাজকে মৃত অবস্থা পড়ে থাকতে দেখেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।”

;নকলা থানা পুলিশ রাসেলকে গ্রেপ্তারে ছায়া তদন্ত করে জানতে পারে- তিনি গাজীপুরে অবস্থান করছে। পরে তারা র‌্যাব-১ গাজীপুর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের সহযোগিতা চান। র‌্যাব-১ গাজীপুর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জি এম মাজহারুল ইসলাম জানান, র‌্যাব তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে জানতে পারে গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় অবস্থান করছে রাসেল। পরে র‌্যাব বাঘের বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

;জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল স্বীকার করে- গত শনিবার রাত ৩টায় আর্জেন্টিনার খেলা দেখে বাসায় ফেরে। এ সময় কিস্তির টাকা জোগাড় করা নিয়ে দুই জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে তাকে লাথি মারে শাহনাজ। পরে ক্ষুব্ধ হয়ে রাসেলও তার বুকে ও মুখে এলোপাতাড়ি লাথি মারতে তাকে। এতে শাহনাজ ঘরের মেঝের সাথে মাথায় আঘাত পেয়ে মারা যান। এটা বুঝতে পেরে রাসেল বাইরে থেকে ঘরের দরজায় তালা দিয়ে ভোরে গাজীপুরে চলে যায়। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য গতকাল রোববার (৪ ডিসেম্বর) রাতে আসামিকে নকলা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”

;নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ জানান- সুরতহাল প্রতিবেদনে শাহনাজ আক্তারের মুখ ও মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। তার মা বাদী হয়ে রাসেলকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেছেন। তাকে র‌্যাবের সহযোগিতায় গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।আজ সোমবার (৫ ডিসেম্বর) আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।